বলিউড তারকা অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের কন্যা আরাধ্যা বচ্চনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। এখনো অভিনয়ে পা না রাখলেও তিনি প্রায়ই আলোচনায় থাকেন, কারণ তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের নাতনি। তবে এবার তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নিজের সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে।
আরাধ্যা বচ্চন দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ করেছেন যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইটে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত এ বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে এবং গুগলসহ একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে বিভ্রান্তিকর তথ্য সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে দিল্লি হাইকোর্ট অনুরূপ একটি আদেশ দিয়েছিল, যেখানে গুগলসহ বেশ কিছু ওয়েবসাইটকে আরাধ্যা সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কিছু ওয়েবসাইটে আরাধ্যা সম্পর্কে “গুরুতর অসুস্থ” বা “মারা গেছেন” বলে মিথ্যা খবর প্রচার করা হচ্ছিল।
২০২৩ সালের শুনানির সময় বিচারপতি সি. হরি শঙ্কর এই ধরনের ভুল তথ্য প্রচারের কঠোর সমালোচনা করেন এবং বলেন, “প্রত্যেক শিশুর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার অধিকার রয়েছে। একজন নাবালিকার স্বাস্থ্য নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো আইনত সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”
সেই সময় আদালত ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুয়া তথ্য প্রচার বন্ধ করতে গুগলসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটকে নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারও অনলাইন বিষয়বস্তুর ওপর বিধিনিষেধ আরোপের জন্য বেশ কিছু নতুন নির্দেশিকা জারি করে এবং গুগলকে আইনি কাঠামো মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে অনলাইন দুনিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানো কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে নাবালকদের ক্ষেত্রে। আরাধ্যার পরিবারের মতো অন্যান্য তারকা পরিবারগুলোও প্রায়ই এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করে থাকে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত অনলাইন নিরাপত্তা এবং সাইবার জগতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন