আরসিটিভি ডেস্ক 

সবশেষ বিপিএলে চিটাগং কিংসের ক্রিকেটাররা নিজেদের কাজটুকু করেছিলেন বেশ ভালোভাবেই। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দলকে তুলেছিলেন ফাইনালেও। তবে দলটির সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ এই যে, আগামী পাঁচ বিপিএলেও আর দেখা যাবে না এই দলটিকে। গত আসরের রানার্সআপ চিটাগং কিংসকে কেন বিপিএল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তার কারণ জানিয়েছে বিসিবি।
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে অংশ নেয় কিংস। কিন্তু বিপিএল যত মাঠে গড়ায় তাদের অনিয়ম, পারিশ্রমিক ইস্যু তত সামনে আসে। হোটেলের বিল বকেয়া, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের পারিশ্রমিক বকেয়া, নারী সঞ্চালকের পারিশ্রমিকে গড়িমসি এবং খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ও দৈনিক ভাতা পর্যন্ত বকেয়া রেখেছিল দলটি। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি।
এবারের বিপিএলেও তারা দল চেয়ে বিসিবির কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু বিসিবি তাদেরকে বাদ দিয়েই বিপিএল আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিপিএলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘প্রাথমিক যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আইন বিভাগ, লিগ্যাল কনসালেটেন্সি ফার্ম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম ১১টি ইওআই অংশগ্রহণকারীর নথি পর্যালোচনা করেছে। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়ায় শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ, বাংলা মার্ক লিমিটেড, মাইন্ড ট্রি ও রূপসী কনক্রিট লিমিটেড কনসোর্টিয়াম।’
চিটাগং কিংসকে নিয়ে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে মিঠু আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে অভিযোগ রয়েছে শন টেইট তাদের কাছে প্রায় ৩৭ হাজার ডলার পায়। সিলেটের রোজ ভিউ হোটেল প্রায় ১৭ লাখ টাকা ক্লেইম করেছে, শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ টাকা পায়। এর আগে শহীদ আফ্রিদিও ক্লেইম করেছিল, ইয়াশা সাগরও অভিযোগ করেছিল। সঙ্গে আমাদের আগের আসরেও বিবাদ আছে, আর্বিটেশনে চলছে। এটা চিটাগং কিংসের পরিস্থিতি।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে পাওনা টাকা নিয়ে বিসিবির আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন রহমান বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। উনি যে অর্ডার নিয়েছেন কোর্ট থেকে, আমরা ওইটা গ্রহণ করিনি। আমরা আপিল করেছিলাম এবং আপিল করে আমরা সেটার উপর স্থগিতাদেশ পেয়েছি। তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য যত আইনি প্রক্রিয়া কোনটাই আমরা বাদ রাখছি না। আমরা কঠিন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
মন্তব্য করুন