লাইফস্টাইল ডেস্ক 

সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় যদি কফি পান করেন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এক কাপ কফি নিমিষে সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। আবার এক কাপ কফিই রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। যদিও কফি খাওয়ার অভ্যাস কমবেশি সবারই আছে। কেউ দিনের শুরুতে কফি খান, আবার কেউ দিনে ৫-৬ বারের বেশি কফি খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এতে কোন উপকার মেলে? যখন-তখন কফি খাওয়া কি ঠিক?
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সময়ে কফি খাওয়া উচিত এবং কখন এড়িয়ে চলা উচিত—
আপনি কফি পান করুন কাজের ফাঁকে ফাঁকে। এতে আপনার কাজে উদ্দীপনা বাড়িয়ে তুলবে। আর দিনভর স্ট্রেসের মধ্যে থাকেন। কাজের ওপর মনোযোগ দিতে পারেন না। এই সময়ে এক কাপ কফি আপনার মনোযোগ ফিরিয়ে আনবে। বিশেষত দুপুর ১টা থেকে ৩টার সময়ে যখন চোখে ঘুম নেমে আসে, এমন সময় এক কাপ কফি আপনার ভীষণ কাজে দেবে।
আর বিকালের পর আর কফির দিকে নজর দেবেন না। এটি অনেকের অভ্যাস রয়েছে। সন্ধ্যাবেলাও কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। কফি ডেটে গেলেও কফি খাবেন না। কারণ ঘুমাতে যাওয়ার ৬-৮ ঘণ্টা আগে শেষবার কফি খান। বিকালের পর কফি খেলে রাতে ঘুম হবে না। তখন আপনার শরীরে ভরপুর এনার্জি। তাই বিকাল ৪টার পর আর কফির দিকে নজর দেওয়া ঠিক নয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে— দিনে কত কাপ কফি খাবেন আপনি? একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারা দিনে ৩০০-৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ দিনে ৩-৫ কাপ কফি খাওয়া যায়। এর চেয়ে বেশি কফি খেলে ঘুমের সমস্যা হবে, অ্যাংজাইটি, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা বাড়তে পারে। তবে দুধ, ক্রিম, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেলে ভালো; কোনো সমস্যা নেই। দুধ-চিনি দিয়ে কফি খেলে ওজন বাড়বে। আপনার শরীর দ্রুতই বৃদ্ধি পাবে।
তবে শেষে একটি কথা সবসময় মাথায় রাখবেন। আপনি কখনো খালি পেটে কফি খাবেন না। লাঞ্চের ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর কফি খান। আর দিনের শুরুতে কফি খান। এতে কাজ করার এনার্জি বেড়ে যায়। কিন্তু সেটি খালি পেটে খেলে চলবে না। তখন গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বেড়ে যাবে। আর এটা অভ্যাসে পরিণত হলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আর দিনেরবেলা তখনই কফি খাওয়া উচিত, যখন কর্টিসেল লেভেল নিজেকে কমবে। ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টা পর কফি খান। ভারি ব্রেকফাস্ট খাওয়ার পর কফির কাপে চুমুক দিন। আপনার মন ফ্রেশ থাকবে।
মন্তব্য করুন