কুড়িগ্রামের নয়টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই এবারের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এই কলেজগুলো হলো, নাগেশ্বরী উপজেলার কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ, ছিলাখানা মডেল কলেজ, ফুলবাড়ী উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ধলডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজারহাট উপজেলার শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ, রৌমারী উপজেলার টাপুরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ এবং উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এই নয়টি কলেজ থেকে মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করলেও অংশ নেয় ৫৪ জন। অংশগ্রহণ করা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
জানা গেছে, নাগেশ্বরী পৌর এলাকায় ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবছর প্রথমবারের মতো তিনজন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সবাই ফেল করেছে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ থেকে অংশ নেয় ১ জন, আর ২০০০ সালে সন্তোষপুর ইউনিয়নের ধনী গাগলায় স্থাপিত ছিলাখানা মডেল কলেজ থেকে অংশ নেয় ৬ জন শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য।
এছাড়া ধলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ থেকে ১ জন, শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ থেকে ১০ জন, রাশেদ খান মেনন কলেজ থেকে ১২ জন, টাপুরচর স্কুল ও কলেজ থেকে ৪ জন এবং চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউই পাস করতে পারেনি।
কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, নতুন প্রতিষ্ঠান, তাই হয়তো এমন ফল হয়েছে।
ছিলাখানা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, গত বছর আমাদের কলেজে ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৭ জন পাস করেছিল। এবারে যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তারা ফরম পূরণ করতেই চায়নি বাড়ি থেকে ডেকে এনে ফরম ফিলাপ করানো হয়েছিল।
সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘদিনেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা চলে গেছেন। শিক্ষক সংকটের কারণেই এমন ফল।
রাশেদ খান মেনন কলেজের অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম জানান, আমাদের কলেজে নিয়মিত পাঠদান হয়। তবুও কেন সবাই ফেল করল, বুঝতে পারছি না। পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানানো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. আমীর আলী বলেন, যেসব কলেজ শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন