বাংলাদেশে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি “ন্যাশনাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেছেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কৃতি সন্তান জামাল হোসেন।
১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছর তরুণ সমাজকর্মীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এ বছর সারাদেশ থেকে ১২ জন তরুণকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে সমাজসেবা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মাত্র দুজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়, আর জামাল হোসেন তাদের অন্যতম।
২০১৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনের নেতৃত্বে চালিয়ে আসছেন বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম। এর মধ্যে রয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি, মাদকবিরোধী আন্দোলন, দলিত ও হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, বিদেশ ফেরত যুবকদের পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণসহ নৈতিক ও প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরি।
এছাড়া তিনি জাতীয় যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তিনি সারা দেশের ৬৪ জেলার ১৯২টি প্রতিষ্ঠানে যুব নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করছেন।
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে জামাল হোসেন বলেন,
“এ পুরস্কার শুধু আমার নয়, এটি লালমনিরহাটসহ দেশের হাজারো স্বেচ্ছাসেবীর সম্মান। সংকটময় সময়ে কিংবা দৈনন্দিন জীবনে সমাজের পাশে দাঁড়ানোই আমার মূল লক্ষ্য। এ স্বীকৃতি তরুণদের সামাজিক কাজে আরও উৎসাহিত করবে।”
এ বিষয়ে সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক নিরাময় রায় আবেগ আপ্লুত হয়ে আরসিটিভিকে বলেন যে আমাদের অভিভাবক জামাল হোসেনের এমন অর্জন আমাদের অনুপ্রাণিত করছে,আমরা গর্বিত এবং তার হাত ধরে অনেক দূর এগিয়ে যাবো।
জামাল হোসেনের এই অর্জনে লালমনিরহাট জুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা। স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি কেবল একজন স্বেচ্ছাসেবীর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং পুরো জেলার মর্যাদা বৃদ্ধির প্রতীক।
মন্তব্য করুন