অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন (ক্যাম্পে)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘গৃহকর্মীদের অধিকার, স্বীকৃতি ও সুরক্ষা’ শীর্ষক এক জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশের প্রায় ৪০ লাখ গৃহকর্মীর সামাজিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও শোভন কর্মপরিবেশ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকার এক হোটেলে আয়োজিত সভায় সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে গৃহকর্মীদের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।
আলোচনায় গৃহকর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইনি ও নীতি সংস্কার, সামাজিক সুরক্ষা এবং নির্যাতন ও শোষণ রোধে জোরাল তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গৃহকর্মের মূল্য ও শ্রম আর অদৃশ্য বা অবহেলিত থাকতে দেওয়া যাবে না। এই খাতকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান, যথাযথ তদারকি এবং নির্যাতন ও শোষণ রোধে কার্যকর ও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের অত্যাবশ্যক দাবি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সকল অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে গৃহকর্মীদেরকে দেশের বিদ্যমান শ্রম আইন ২০০৬ ও সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোর আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় বক্তারা দেশের গৃহকর্মীদের একটি বড় অংশই নারী ও কিশোরী হওয়ায় তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ন্যায্য মজুরি প্রদানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ সময় গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ যুগপযোগীকরণ এবং বিদ্যমান শ্রম আইনে তাদের স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়।
সভায় বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীল সমাজ, ট্রেড ইউনিয়ন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন