RCTV Logo ‎কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

উজানের ঢল ও বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চলে বন্যা আশঙ্কা

ছবিঃ আরসিটিভি

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাবে কুড়িগ্রামের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে, তবে পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে।

‎‎পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রাম অফিস সূত্রে জানা যায়— ধরলা নদী (কুড়িগ্রাম পয়েন্ট): বিপদসীমা ২৬.০৫ মিটার। বুধবার সকাল ৬টায় পানি ছিল ২৫.১৩ মিটার, সকাল ৯টায় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫.১৯ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ২০.০ মিমি।

‎‎দুধকুমার নদী (পাটেশ্বরী পয়েন্ট): বিপদসীমা ২৯.৬০ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ২৯.১০ মিটার থেকে সামান্য কমে সকাল ৯টায় দাঁড়ায় ২৯.০৮ মিটার। বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৯.০ মিমি।

‎ব্রহ্মপুত্র নদী (নুনখাওয়া পয়েন্ট): বিপদসীমা ২৬.০৫ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ছিল ২৪.৬৯ মিটার, সকাল ৯টায় বেড়ে হয় ২৪.৭১ মিটার।

‎ব্রহ্মপুত্র নদী (হাতিয়া পয়েন্ট): বিপদসীমা ২৪.৪০ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ২৩.০৭ মিটার থেকে বেড়ে সকাল ৯টায় দাঁড়ায় ২৩.১০ মিটার।

‎ব্রহ্মপুত্র নদী (চিলমারী পয়েন্ট): বিপদসীমা ২৩.২৫ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ছিল ২২.১৬ মিটার, সকাল ৯টায় হয় ২২.১৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৬৩.০ মিমি।

‎‎তিস্তা নদী (কাউনিয়া পয়েন্ট): বিপদসীমা ২৯.৩১ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ছিল ২৮.৯৫ মিটার, সকাল ৯টায় বেড়ে হয় ২৮.৯৭ মিটার। বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৮.০ মিমি।

‎পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম উপ-পরিচালক মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে রৌমারী, রাজীবপুর, চিলমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থানীয়দের সতর্ক অবস্থানে থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”

‎স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় চর ও নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার ইতিমধ্যে গবাদি পশু ও ঘরের আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। একইসঙ্গে তীব্র স্রোতের কারণে নদী ভাঙনও দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকায় বসতবাড়ি ও কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

‎‎জেলার চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের জন্য এ সময়টি চরম দুশ্চিন্তার। বন্যার পাশাপাশি নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। অনেকে বলছেন, যদি পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে, যা তাদের জীবন-জীবিকায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ শিশু সহ ২৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না আসিফ মাহমুদ, এনসিপিতে যোগ দেবেন?

উয়েফা সুপার কাপে আজ রাতে পিএসজি বনাম টটেনহ্যাম

বিএনপিতে ‘চমক’ দেখাতে পারেন যারা

ভারতকে এমন শিক্ষা দেব, যা কখনো ভুলবে না: শাহবাজ শরিফ

রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছেই, নিম্নাঞ্চলে বন্যা 

লালমনিরহাট সীমান্তে দিয়ে আবারো ৯ জনকে পুশ ইন করেছে ভারত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন হিরো আলম

উজানের ঢল ও বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চলে বন্যা আশঙ্কা

১০

প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো ইউকেএম

১১

তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে,লালমনিরহাটে আবারো বন্যা

১২

‎তিস্তার ভাঙনে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার, হুমকিতে শত শত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

১৩

গাইবান্ধায় ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিন জন 

১৪

ধরলা নদীতে ভেসে আসা ভারতীয় শিশুর মরদেহ উদ্ধার,পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর

১৫

সীমান্তে ১৫ বিজিবির অভিযানে ৮২ কেজি গাঁজা জব্দ

১৬

আবারো তিস্তার পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চলে বন্যা আতঙ্ক

১৭

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জাতীয় যুব দিবস পালিত

১৮

রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই  চরাঞ্চলে পানিবন্দি মানুষ

১৯

লালমনিরহাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত 

২০