কোরআন তিলাওয়াত একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। কোরআন তিলাওয়াতকারীদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তারা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। (সূরা ফাতির, আয়াত: ২৯-৩০)
কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে এক হাদিসে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন—
যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত একটি উত্তম আমল। একইসঙ্গে কোনো ব্যক্তি নিজেকে স্বপ্নে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখাও ভালো কিছুর ঈঙ্গিত দেয়। কেউ নিজেকে স্বপ্নে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখার ব্যাখ্যা হলো— আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তার জীবনে খুশি নেমে আসবে।
আর কেউ যদি স্বপ্নে কোরআন মুখস্ত (হিফজ) করতে দেখে তাহলে তার ব্যাখ্যা হবে, সে কারো সঙ্গে আদালতে মুখোমুখি হবে এবং তার দাবিই সঠিক প্রমাণিত হবে এবং সে আমানতদার প্রমাণিত হবে। তিনি নরম হৃদয়ের অধিকারী মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বাধা দেবেন।
আর যদি কেউ স্বপ্নে পবিত্র কোরআন খতম করতে দেখে তাহলে তার কোন বড় আশা পূরণ হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক সওয়াব দান করবেন।
কোনো গায়রে হাফেজ (যে কোরআনের হাফেজ নয়) যদি স্বপ্নে দেখে যে, সে কোরআন শরিফ মুখস্ত করে ফেলেছে তাহলে এর ব্যাখা হলো, তাকে তার পরিস্থিতির অনুযায়ী শক্তি বা মর্যাদা দান করা হবে।
যদি কেউ স্বপ্নে নিজেকে কোরআন শরিফ পড়া অবস্থায় দেখে, কিন্তু তার মনে নেই যে সে ঠিক কোন অংশ থেকে পড়েছে বা কোন আয়াত কোন সূরা পড়েছে। তাহলে সে যদি অসুস্থ থাকে সুস্থ হয়ে যাবে। আর যদি সে ব্যবসায়ী হয় তাহলে তো আর কোনো বড় মুনাফা হবে।
আর যদি কেউ সপ্নে দেখে যে, সে কোরআন শরিফ শ্রবণ করছে তাহলে তার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং তার সব কাজের ফলাফল সুন্দর হবে এবং সে ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পাবে।
যদি কেউ স্বপ্নে দেখে যে, সে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করছে আর লোকেরা তার তেলাওয়াত শুনছে, তাহলে সমাজের মানুষেরা তার আদেশ মেনে চলবে।
মন্তব্য করুন