জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের শনাক্ত করতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। গতকাল (তারিখ) কুমিল্লা সার্কিট হাউজে প্রথম ধাপে ৩১ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ১ লাখ ২২ হাজার ভুয়া নাম ঢুকে পড়ার অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে সরকারি হিসাবে ২ লাখ ৮ হাজার সনদধারী মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও, জামুকার দাবি—এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অবৈধ।
বিগত বছরগুলোতে ৩,৯২৬ জনের সনদ বাতিল হয়েছে, যাদের মধ্যে ২,১১১ জনের বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ বছর ৬ মাসের কম ছিল।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, স্থানীয় প্রবীণ নাগরিক ও অভিযোগকারীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকাণ্ড, দলিলপত্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই করা হচ্ছে।শুনানিতে অনুপস্থিত থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনদ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
জামুকা মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন বলেন, “ঢাকার অফিসে বসে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করা যায় না। মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা করা হবে।”
কুমিল্লার পর অন্যান্য জেলায়ও এমন শুনানি চলবে।ভুয়া সনদধারীদের তালিকা করে একটি ডিজিটাল ডেটাবেজ তৈরি করা হবে।দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এই অভিযানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মর্যাদা রক্ষা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা কেবল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
মন্তব্য করুন