তুরস্ক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. কেমাল মেমিশওলো। বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ-তুরস্কের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন এবং সংকটকালে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশেষ করে, ২০২৩ সালে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশের দেওয়া সাহায্যের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুরস্ক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশটিতে গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিকে স্বাগত জানান। এছাড়া, তুরস্ক আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন গতি পেয়েছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। তুরস্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে এবং জুলাই আন্দোলনে আহত বাংলাদেশিদের চিকিৎসায়ও সহায়তা দিচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং দুই দেশের মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের ঐতিহাসিক তাৎপর্য উল্লেখ করে বলেন, এ দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের সূচনা করেছিল। তিনি পয়লা বৈশাখের সাংস্কৃতিক গুরুত্বও তুলে ধরেন, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির প্রতীক।
রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উন্নয়ন, বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হওয়ার ঘটনাও উল্লেখ করেন। তিনি তুরস্ক সরকার ও জনগণের প্রতি বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
মন্তব্য করুন