বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সকল স্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন। “জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত” প্রতিপাদ্যে এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকারভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন করা, যা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনের ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার কমানো এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”
স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা স্বাস্থ্য সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মাতৃস্বাস্থ্য, প্রসবপূর্ব যত্ন ও নবজাতকের টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করেছে।”
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ বছর মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বিশেষায়িত হাসপাতালের মাধ্যমে সেবার মান উন্নয়ন চলছে।
৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য দিবস পালনকে সময়োপযোগী উদ্যোগ আখ্যায়িত করে ড. ইউনূস দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যই সম্পদ—এই ধারণা ছড়িয়ে দিয়ে আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুস্থ জাতি গড়ে তুলি।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার ১৬৫ প্রতি লাখ জীবিত জন্মে এবং শিশুমৃত্যু হার ২১ প্রতি হাজার জীবিত জন্মে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ ও জনসচেতনতা বাড়ালেই কেবল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।
মন্তব্য করুন