ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর নীতি
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরের সাত সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে ‘ফাইভ আইস’ গোয়েন্দা জোট থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি, যা কানাডার জাতীয় গর্বে আঘাত হেনেছে।
কানাডার প্রতিক্রিয়া
কানাডা এই কঠোর নীতির বিরুদ্ধে আমেরিকান পণ্য বয়কট শুরু করেছে। অন্টারিওর মদ বিক্রেতারা কেন্টাকির হুইস্কি ও ক্যালিফোর্নিয়ান ওয়াইন সরিয়ে ফেলেছে, এবং আলবার্টা শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্প তখন এক মাসের জন্য শুল্ক নীতি স্থগিত করেছেন এবং আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন।
DOGE সংস্থা এবং প্রতিরোধ
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন উদ্যোগ DOGE (Department Of Government Efficiency)। কিন্তু এই সংস্থাটি এখন প্রতিরোধের সম্মুখীন, এমনকি প্রশাসনের ভেতর থেকেও। এফবিআই এর পরিচালক কাশ প্যাটেল নির্দেশ দিয়েছেন DOGE-এর নির্দেশ উপেক্ষা করতে।
এটি প্রথমবার যে, ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে স্পষ্ট টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে। মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক যে সহজ ছিল না, তা এর আগে কিছু অস্বস্তিকর মুহূর্তেও প্রমাণিত হয়েছে, যেমন মাস্কের ছেলে এক্স যখন ওভাল অফিসে দৌড়ঝাঁপ করেছিল। সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে ট্রাম্পের মাস্কের ওপর অন্ধ বিশ্বাস কমে আসছে, যা সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।ট্রাম্প যখন তাত্ক্ষণিক ফলাফল পান না, তখন তিনি অস্থির হয়ে পড়েন। এর আগে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং সম্ভাব্য পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে পানামা বা ভারত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত, এখন পর্যন্ত, ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তবে শুল্ক নীতির ক্ষেত্রে খুব একটা লাভ হয়নি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আশ্বস্ত করেছেন যে, ভারত BRICS এর মাধ্যমে মার্কিন ডলারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে না। তবে, ট্রাম্পের আচরণ অনির্দেশ্য, তাই ভারতের সতর্ক থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন