
বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তবে, পেঁয়াজ সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুবিধার অভাবে আমদানি করতে বাধ্য হয় দেশ। সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারলে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা সম্ভব হবে এবং ভবিষ্যতে রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হবে।
শনিবার যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আয়োজিত ‘জাতীয় কৃষি বিপণন আইন ও নীতি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা’-তে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাসুদ করিম এ তথ্য জানান।
কৃষি পণ্য সংরক্ষণে উদ্যোগ
- পেঁয়াজ সংরক্ষণের সুবিধা সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
- কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আওতায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
- শুধু পেঁয়াজ নয়, অন্যান্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা
মাসুদ করিম জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মূল কাজ হলো কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ।
- কৃষিপণ্য বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কাজ করছে অধিদপ্তর।
- কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
- ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।
সরকারের অগ্রাধিকার ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা
- সরকার কৃষিপণ্য বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
- বিনিয়োগ নিশ্চিত হলে কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থা আরও কার্যকর হবে।
কর্মশালার বিশিষ্ট অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা
- কর্মশালাটি ইউএসএআইডির ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি প্রকল্পের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।
- বিশেষ অতিথি: খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহনাজ বেগম।
- মূল বক্তব্য: সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
- আরও বক্তব্য রাখেন:
- যশোরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা।
- লিংক পলিসির সিনিয়র ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ।
- কর্মশালায় কৃষিপণ্য উৎপাদক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হতে পারে। সরকার এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।