বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে রাজধানীর দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা ৮ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পৃথকভাবে এসব রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছিলেন, যেখানে এসব মামলা বাতিল করা হয়।
রায় ঘোষণার দিন খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী এবং অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াস উদ্দিন গাজী, শামীমা আক্তার বানু, লাবণী আক্তার ও কাজী মোহাম্মদ মনরুজ্জামান।
এই ৮ মামলার মধ্যে বাস পোড়ানোর অভিযোগে দারুস সালাম থানায় ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ ও ৩ মার্চ এবং যাত্রাবাড়ী থানায় ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে পৃথকভাবে এসব মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২৩ সালের অক্টোবরে রুল মঞ্জুর করে হাইকোর্ট রায় দেন।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা জানান, আদালত মামলাগুলোর রুল অ্যাবসোলিউট করেছেন, যার অর্থ হলো মামলাগুলো সম্পূর্ণরূপে বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন