লাইফস্টাইল ডেস্ক 

প্রকৃত উন্নতির মানে হুট করে বড় পরিবর্তন বা উচ্চস্বরে নিজের সাফল্য বর্ণনা করা নয়। বেশিরভাগ সময় সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী উন্নতি ঘটে নীরবে। আপনি নিজের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানান এরকম ছোট ছোট বিষয়ই পরিবর্তন আনতে পারে। এই পরিবর্তনগুলো অন্যদের নজরে না-ও যেতে পারে, তবে ধীরে ধীরে এগুলো যোগ হয় এবং একটি বড় পার্থক্য তৈরি করে। কিছু পদক্ষেপ জীবনে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য তৈরি করে নিতে হয়। সেগুলো ক্রমাগতভাবে করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
নিজের প্রতি সদয় হোন
প্রকৃত উন্নতির দিকে প্রথম পদক্ষেপ নিজের প্রতি সদয় হওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়। নিজের ত্রুটিগুলোর সমালোচনা করার পরিবর্তে, আপনার প্রচেষ্টা এবং অগ্রগতি স্বীকার করুন। ধৈর্য সহকারে এবং বোধগম্যতার সঙ্গে নিজের সঙ্গে কথা বলুন, ঠিক যেমন করে কথা বলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে। এই মনোভাব আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক শক্তি তৈরি করে, ভুলের মধ্যে আটকে থাকার পরিবর্তে তা থেকে শেখা সহজ করে তোলে। মনে রাখবেন, নিজের প্রতি সদয় হওয়া দুর্বলতা নয়; এটিই প্রকৃত উন্নতির মূল কারণ।
নিজের আচরণ নিয়ে ভাবুন
নীরব প্রতিফলন ব্যাক্তিগত সমৃদ্ধির একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। প্রতিদিন বা সপ্তাহে আপনার পছন্দ, আচরণ এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে চিন্তা করার জন্য সময় নিন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কোনটি কাজ করেছে, কোনটি করেনি এবং আপনি কী শিখেছেন। এই ধরণের সৎ প্রতিফলন আপনাকে নিজের কাজের ধরণ দেখতে এবং নিজেকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। আপনার নোটের পাতায় লেখার দরকার নেই – কেবল কয়েকটি চিন্তাশীল মুহূর্ত আপনাকে ধীরে ধীরে আরও জ্ঞানী এবং আত্ম-সচেতন হতে সাহায্য করতে পারে।
নতুন পদ্ধতির চেষ্টা করুন
উন্নতি আসে ছোট ছোট পরিবর্তনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আসে। প্রতিদিন একই রুটিন পুনরাবৃত্তি করার পরিবর্তে, ছোট ছোট নতুন অভ্যাস চালু করার চেষ্টা করুন, যেমন ঘুমানোর আগে কয়েক পৃষ্ঠা পড়া, অল্প হলেও হাঁটাহাঁটি করা, অথবা একটি নতুন কোনো দক্ষতা বৃদ্ধি। এই শান্ত সমন্বয়গুলো মনকে সতেজ করে এবং দৈনন্দিন জীবনে নতুন শক্তি নিয়ে আসে। আপনাকে একবারে সবকিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই, স্থির এবং সচেতন থাকুন।
মন্তব্য করুন