রোজ সকাল থেকে মধ্যরাতে কাজে ডুবে থাকা। দম ফেলারও যেন সময় নেই। রাতেও ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না। নানা দুশ্চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটছে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সব কাজে। স্ট্রেসের প্রভাব পড়ে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ওপরও।
মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। একে স্ট্রেস হরমোনও বলা হয়। এই হরমোনের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীরে নানা পরিবর্তন ধরা পড়ে।
কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়লে শরীরে কোন কোন পরিবর্তন ধরা পড়ে, চলুন জেনে নিই-
মুখে ও পেটে মেদ জমা
মানসিক চাপের কারণেও বাড়তে পারে ওজন। অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ নষ্ট হয় এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে বেড়ে যায় মেটাবলিক ডিজিজের ঝুঁকিও। মানসিক চাপ বিপাক হারকে দুর্বল করে দেয়। তাই বাড়তে থাকে ওজন। মূলত দুই গালে আর পেটে মেদ জমতে থাকে।
বয়সের আগে ত্বকে বার্ধক্য আসা
স্ট্রেস বাড়লে তার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে ত্বকে। কর্টিসল হরমোন কোলাজেন ভেঙে দেয় এবং এর প্রভাব ত্বকের ওপর দেখা দেয়। এতে চামড়া ঝুলে পড়ে। বলিরেখা বাড়তে থাকে এবং চোখ-মুখ ফ্যাঁকাসে দেখায়। মুখে তেল ও ব্রণের আধিক্য বেড়ে যায়। ত্বকের ক্ষত সহজে সেরে ওঠে না। ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে যায়।
চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
কর্টিসল হরমোন কেড়ে নিতে পারে চুলের সৌন্দর্যও। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কর্টিসল। বেড়ে যায় চুল পড়ার হার। অনেকসময় মাথায় টাক পড়ে যায়। এমনকি নতুন চুলও গজায় না। চুল অনেক বেশি পাতলা হয়ে যায়।
শারীরিক গঠনের পরিবর্তন হওয়া
শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়লে পেশির ক্ষয় হতে থাকে। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। হাত, পা, কাঁধের গঠন পরিবর্তন হতে থাকে। শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এছাড়া কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়লে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীর সারাক্ষণ ক্লান্ত থাকে। কমে যায় কাজের এনার্জি।
এসব পরিবর্তনই জানান দেয় যে আপনি মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। তাই স্ট্রেসমুক্ত থাকতে চেষ্টা করুন। ব্যস্ততার ফাঁকে নিজেকে সময় দিন।
মন্তব্য করুন