জুলাই সনদ চূড়ান্তকরণ ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পরে সব রাজনৈতিক শক্তির ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। এতে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত সব দলের মতামত নেওয়া না হলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) জনতা পার্টি বাংলাদেশ কার্যালয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিকল্প রাজনৈতিক জোট গঠনের ধারাবাহিক মতবিনিময়ের এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এ মত প্রকাশ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি মহসীন রশিদ। সঞ্চালনা করেন জনতা পার্টি বাংলাদেশ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ করার ল্েয যাতে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ এবং উদার করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের পর এক-এগারোর সরকার প্রণীত নিবন্ধন বিধি কার্যকর থাকতে পারে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, জাগপা সভাপতি মহিউদ্দিন বাবলু, জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এম এ ইউসুফ, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন (দ্বীপু মীর) প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, বাংলাদেশে এখন একটি পরিণত রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলা অপরিহার্য। ইসলামী মূল্যবোধ সামনে রেখে স্বাস্থ্য, শিা, সুশাসন ও ইনসাফভিত্তিক সমাজের কথা গুরুত্ব দিয়ে বলতে হবে। ভূরাজনীতির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সম্বন্ধে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।
গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, শুধু কয়েকটি দলকে নিয়ে ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ চূড়ান্ত করলে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এই রাজনৈতিক অঙ্গীকারের দলিলে সার্বজনীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তা না হলে
অভ্যুত্থানের পরে শক্তিগুলোর মধ্যেই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব প্রশ্ন করেন, ঐকমত্য কমিশনের ডাকা ৩১ দলের মধ্যে নিবন্ধিত দল কয়টি? নিবন্ধন হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র; কিন্তু মতামত প্রদানের ছাড়পত্র নয়। শওকত মাহমুদ উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন শুধু বড় ও ধনী দলগুলোর স্বার্থ দেখছে। মহিউদ্দিন বাবলু বলেন, আমরা একটি পরিণত জোট গঠন করতে আগ্রহী। দ্বীপু মীর বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে জোটের বিকল্প নেই। -বিজ্ঞপ্তি।
মন্তব্য করুন