আরসিটিভি ডেস্ক 

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই কৃতকার্য হতে পারেননি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি। এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টি।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড- ৬৪.৬২ শতাংশ, সিলেট শিক্ষাবোর্ড- ৫১.৮৬ শতাংশ, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড- ৫৯.৪০ শতাংশ, ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ড- ৫১.৫৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড- ৫২.৫৭ শতাংশ, যশোর শিক্ষাবোর্ড- ৫০.২০ শতাংশ, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড- ৪৮.৮৬ শতাংশ, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড- ৫৭.৪৯ শতাংশ, বরিশাল শিক্ষাবোর্ড- ৬২.৫৭ শতাংশ।
এদিন সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, রাজশাহীতে এক লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন, কুমিল্লায় এক লাখ এক হাজার ৭৫০ জন, যশোরে এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৩৫ জন, বরিশালে ৬১ হাজার ২৫ জন, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩ জন, দিনাজপুরে এক লাখ তিন হাজার ৮৩২ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।
মন্তব্য করুন