ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ঝড়ে তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ৫টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ শতাধিক পরিবার। আহত হয়েছেন কয়েকজন মানুষসহ গরু-ছাগল।
রবিবার (৫ অক্টোবর) ভোরের দিকে উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের পিয়াজুপাড়া, সুতাহারপাড়া, রায়মহল ও ভিতারবাড়ী এবং বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাদামাবাড়ী এলাকায় এ ঝড়ের আঘাত হানে। মুহূর্তের ঝোড়ো বাতাসে ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়, গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, হঠাৎ ভোরবেলায় প্রচণ্ড শব্দে বাতাস বইতে শুরু করে। মাত্র ১৩ সেকেন্ডে সব কিছু ওলটপালট হয়ে যায়। কার টিন কার বাড়িতে গিয়ে পড়েছে, তা বোঝার উপায় ছিল না। প্রায় প্রতিটি ঘরে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতি হয়েছে। বাড়ীর পাশে পুকুর থেকে ডুবে ডুবে টিন খুজে বের করা হচ্ছে। অনেক দরিদ্র অসহায় পরিবার রয়েছে তাদের পুনরায় ঘর তুলতে যা খরচ হবে সেটা যোগার করা সম্ভব না। তাই প্রশাসন ও বিত্তবানদের কাছে দ্রুত টিন, অর্থ ও খাবাবের সহযোগীতা চেয়েছেন তারা।
পাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, পাড়িয়া ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করেছেন আশা করি দ্রুত এসব পরিবার সহযোগীতা পাবে।
পাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী রুবেল বলেন, “আমাদের ইউনিয়নের অন্তত চারটি গ্রামে প্রতিটি বাড়িরই কোনো না কোনো ক্ষতি হয়েছে। আল্লাহর রহমতে প্রাণহানি ঘটেনি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়।”
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন,“আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চাল দেওয়া হবে। পরবর্তীতে টিন এর ব্যবস্থা করা হবে এটা অতি দ্রুত সময়ে করব।”
মন্তব্য করুন