আমাদের দেশে প্রচলিত একটি ধারণা হলো, সর্দি-কাশি বা জ্বরে কলা খাওয়া উচিত নয়। অনেকেই মনে করেন কলা খেলে কাশি বেড়ে যায় কিংবা কফ জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, এ ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক নয়। বরং কলা সর্দি-জ্বরের সময় শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, কলা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়, ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। জ্বরে ঘাম ও দুর্বলতা দেখা দিলে কলা তা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
চিকিৎসকরা জানান, কলা একটি হালকা ও সহজপাচ্য খাবার। বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবার জন্য এটি নিরাপদ। তবে কাশি বেশি থাকলে বা যাদের অ্যাজমা ও ব্রঙ্কাইটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে রাতে কলা না খাওয়াই ভালো। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদেরও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে খেতে হবে।
সর্দি-কাশির সময় কলা খেলে অসুখ বাড়বে—এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা কলা না খেয়ে রুম টেম্পারেচারের কলা খাওয়াই উত্তম। প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা শরীরকে চাঙা রাখতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে সঠিক তথ্য জানলে মানুষ নিজেদের খাবার তালিকা আরও সুষম করতে পারবেন। সর্দি-জ্বরে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন লেবু, কমলা, পেয়ারা এবং সহজপাচ্য খাবারের পাশাপাশি কলাও একটি কার্যকরী বিকল্প হতে পারে।
মন্তব্য করুন