দলটি এবার তফসিল ঘোষণার আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই ও মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন।
এই কৌশলের পেছনে মূল কারণ হলো তফসিল ঘোষণার পর একক প্রার্থী ঘোষণা করলে আসনভিত্তিক জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা। ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিএনপি কার্যকরভাবে নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে ছিল। এ অবস্থায় একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর কারণে ভোটের আগে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং সৃষ্টি হতে পারে, যা দল এবং ভোটারদের উপর негаতিক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই এই সমস্যা এড়াতে তফসিলের আগেই একক প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন।
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির হাইকমান্ড তরুণ, যোগ্য এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের দিচ্ছেন। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বা মাঠে গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাদের প্রার্থী করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় স্থায়ী কমিটিই পার্লামেন্টারি বোর্ড হিসেবে প্রার্থী মনোনয়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
নির্বাচনি প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিএনপি ‘ডোর টু ডোর’ প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে পুরুষ ও মহিলা নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করা হবে। এই প্রচারণার মাধ্যমে দলটি তাদের ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার agenda এবং বিগত সরকার আমলের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরবে।
মন্তব্য করুন