রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। চালক, সুপারভাইজার ও সহকারিদের দীর্ঘদিনের কম বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রোববার রাত ৯টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রায় ১০ বছর ধরে একই হারে বেতন দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রতি ট্রিপে চালক পান ১১০০ টাকা, সুপারভাইজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী মাত্র ৪০০ টাকা। কোন কোন পরিবহনে চালকদের দেওয়া হয় ১২০০ টাকা। শ্রমিকরা এই বেতন বাড়িয়ে অন্তত দুই হাজার টাকা করার দাবি তুলেছেন।
তাদের দাবি, ড্রাইভারকে ২ হাজার, হেলপারের বেতন এক হাজার ও সুপারভাইজারের বেতন ১১শ টাকা করতে হবে। সইে সাথে কানসাট চাঁপাইনবাবগঞ্জ গেলে সেটি আরো বাড়াতে হবে।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন,“দশ বছর ধরে আমাদের বেতন একই আছে। আগস্টে শুধু ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাস বন্ধ করেছিলাম। মালিকরা আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবার দাবি না মানা পর্যন্ত সব বাস বন্ধ থাকবে।”
এদিকে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন ব্যবহার করছেন।
ঢাকাগামী যাত্রী আব্দুল করিম বলেন, রাতেই জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হতো। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছি। বিকল্প গাড়ির ভাড়া দ্বিগুণ, সেটাও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীদের এমন হয়রানী না করেও আন্দোলেন করা যেতে। তাহলে আমাদরে ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা হক বলেন, পরীক্ষার জন্য ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু বাস না থাকায় খুব দুশ্চিন্তায় আছি। ট্রেনের টিকিট আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন লোকাল বাসই ভরসা। তবে শেষ পর্যন্ত কত ক্ষনে যেতে পারবো সেটা জানি না।
যাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, হঠাৎ করে এভাবে বাস বন্ধ করলে আমরা যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ি। শ্রমিকদের দাবি মানা উচিত, কিন্তু যাত্রীদের কষ্টও কমানো দরকার।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন,
“শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। এর আগে মালিকরা মাত্র একশ টাকা বাড়াতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকরা তা মানছে না। আমরা আবারও মালিকদের সঙ্গে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।”
এবিষয়ে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধরণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলালের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ইন্ডিয়াতে আছি। গাড়ি বন্ধ হয়েছে শুনেছি। তবে কী করাণে সিেট বলতে পারবো না।
মন্তব্য করুন