ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভুয়া ‘বাবা’দের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ‘অপারেশন কালনেমি’ নামের এই অভিযানে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ‘অপারেশন কালনেমি’ অভিযানের অংশ হিসেবে ওই ১৪ জন ভুয়া ‘বাবা’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভুয়া ‘বাবা’রা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও ধর্মান্তরে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তরাখণ্ড পুলিশের অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা শাখার আইজি নিলেশ আনন্দ ভরনে জানান, এ অভিযানের আওতায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৮২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এর মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে পুলিশের দাবি।
এনডিটিভি বলছে, গত জুলাইয়ে এ অভিযান শুরু হয়। আগস্টে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছিল, সে সময় পর্যন্ত ৪ হাজার মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইজি ভরনে বলেন, এ অভিযান ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে তল্লাশি করা হয়েছে।
তিনি জানান, শুধু হরিদ্বারেই ২ হাজার ৭০৪ জনকে যাচাই করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবার দেরাদুনে ৯২২ জনকে যাচাই করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া টেহরি, পাউরি, আলমোড়া, নৈনিতালসহ অন্যান্য জেলাতেও অভিযান চলছে।
অভিযানের মূল লক্ষ্য ‘দেবভূমি’র পবিত্র ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখা বলে জানান আইজি ভরনে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া একজন বাংলাদেশি নাগরিক সেলাকুই এলাকায় ‘অমিত কুমার’ নামে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে আট বছর ধরে ‘বাঙালি ডাক্তার’ পরিচয়ে বসবাস করছিলেন।
এছাড়া ভাতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগের বাসিন্দা ইফরাজ আহমেদ লোলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজের ধর্ম পরিচয় গোপন করে ‘রাজ আহুজা’ নামে দিল্লির ধনী ব্যক্তি সেজে নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন