ভিটামিন ‘কে’ হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া কেটে গেলে রক্তজমাট বেঁধে ক্ষত বন্ধ হওয়ার যে প্রক্রিয়া তাও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ভিটামিন ‘কে’। হার্টের স্বাস্থ্যও নির্ভর করে শরীরে ভিটামিন ‘কে’র উপস্থিতির ওপর। কিন্তু এমন প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন কোন কোন খাবারে পাওয়া যায়, তা জানেন কি?
যেখানে প্রতিদিনের খাবারে থাকা নানা ধরনের ভিটামিনের মধ্যে— এ, বি, সি, ডি এবং ই যতটা পরিচিত, ভিটামিন কে ততটা নয়। কারণ সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে এই ভিটামিনেরও শরীরে যাওয়া ততটাই প্রয়োজন, যতখানি প্রয়োজন অন্য ভিটামিনগুলো।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো এর আগে অলিম্পিক্সের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি বলেছেন, সুস্থ থাকার জন্য প্রতি দিন শরীরে নারীর ক্ষেত্রে ৯০ মাইক্রোগ্রাম ও পুরুষের ১২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘কে’ যাওয়া জরুরি। সেই মাত্রার ভিটামিন ‘কে’ প্রতিদিনের খাবারে থাকছে কি?
এবার জেনে নিন কোন কোন খাবারে ভিটামিন ‘কে’ আছে—
নটেশাক
নটেশাকে ভিটামিন কে-র মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন কে রয়েছে ১১৪০ মাইক্রোগ্রাম।
সজনে পাতা
সজনে পাতা দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু খাবার রান্না করা হয়। সেই সজনে পাতায় ভিটামিন কে রয়েছে প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৭৯ মাইক্রোগ্রাম।
মেথি শাক
মেথির পরোটা, মেথি চিকেন, মেথি আলু এবং মেথি শাক ভাজা—রান্নাঘরে মেথি শাক দিয়ে তৈরি সুস্বাদু রান্নার অভাব নেই। সেই মেথিও ভিটামিন কে-তে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রামে ৪২৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে রয়েছে।
ধনেপাতা
ঋতু যা-ই হোক দৈনন্দিন খাবারে ধনেপাতার ব্যবহার হয়েই থাকে। কেউ ধনেপাতার চাটনি খান, আবার কেউ ধনেপাতা ছড়িয়ে দেন তরিতরকারিতেও। সেই ধনেপাতায় প্রতি ১০০ গ্রামে ২৭৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে রয়েছে।
পালংশাক
পালংশাক আরও নানা কারণে উপকারী। ভরপুর পুষ্টিগুণ রয়েছে এই শাকের। পালংশাকে ভিটামিন কে রয়েছে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩২৫ মাইক্রোগ্রাম।
ব্রকোলি
রান্না করা ১০০ গ্রাম ব্রকোলিতে ভিটামিন কে রয়েছে ১০২ মাইক্রোগ্রাম। এই সবজি নিয়মিত খাওয়ার নানা উপকার আছে। তার সঙ্গে ভিটামিন কে-ও পাওয়া যাবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়।
মন্তব্য করুন