রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় নাগেশ্বরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে দিবসের সূচনা করে উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ মামুন, উপজেলা শাখার সভাপতি লাভলু মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মো. সুজন মিয়া,সহ আরও অনেকে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, খুব জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল না হলেও সারা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক, সবচেয়ে বাস্তববাদী, গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় রাজনীতিটাই করছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। একসময় সংস্কার শব্দটি শুনতেই মুখ বাকানো রাজনীতিবিদরা এখন সংস্কারের পক্ষে এবং বিপক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছেন। দেশের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে সংস্কারের আলাপের মধ্যেই। এ সাফল্য ছোট নয়। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুড়িগ্রাম সহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সভাপতি লাভলু মিয়া বলেন, “আমরা আজকের এই দিনে জনগণের উদ্দেশে বলতে চাই এক রক্তক্ষয়ী, হার না মানা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ‘হাসিনাশাহী’ শাসনের পতন ঘটিয়েছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এমন বিজয় আর দেশ দেখেনি। এই বিজয় আমাদের ধরে রাখতে হবে। তবে দুঃখের বিষয় হলো, এখনো অনেকেই ফ্যাসিস্টদের মতো আচরণ করে যাচ্ছে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ না থেকে যারা অন্যায় ও দমন-পীড়নে লিপ্ত, তাদের প্রতিহত করতেই আমাদের জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে আরও ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখা। কিন্তু সরকারের ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান ব্যর্থতা আমাদের হতাশ করছে। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের উন্নয়ন, নাগরিক অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন