আজ ২২শে শ্রাবণ, বাংলা সাহিত্যের অমর প্রতিভা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৩তম প্রয়াণবার্ষিকী। ১৯৪১ সালের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিগুরু রেখে গেছেন সাহিত্য, সংগীত, দর্শন ও শিল্পের এক অফুরান ভাণ্ডার, যা আজও বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদাসুন্দরী দেবীর সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র আট বছর বয়সে প্রথম কবিতা লিখে শুরু হয় তার সাহিত্য যাত্রা। পরবর্তীতে তিনি বাংলা সাহিত্যকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। শুধু কবিতা নয়, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ও গানে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্রষ্টা।
১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা বাংলা ভাষাকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। তার রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
জীবনের একটি বড় অংশ তিনি কাটিয়েছেন কুষ্টিয়ার শিলাইদহে এবং পরবর্তীতে শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, যা আজও শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে স্বীকৃত।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠানের। ঢাকার ছায়ানট আজ সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির নিজস্ব মিলনায়তনে কবিকে স্মরণ করবে গান, কবিতা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে।
এছাড়া বাংলা একাডেমি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে অংশ নেবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সৃষ্টির মাধ্যমে বাঙালির মনন ও সংস্কৃতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছেন। তার আদর্শ ও দর্শন আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। প্রয়াণবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করছে গোটা জাতি।
মন্তব্য করুন