সালাম মুসলিম সংস্কৃতি ও সম্ভাষণের অংশ। এক মুসলিমের সঙ্গে অপর মুসলিমের সাক্ষাতের সময় সালাম বিনিময় করা সুন্নত। সালামের মাধ্যমে মূলত একে-অপরের প্রতি শান্তি কামনা করেন।
মূলত: ‘আস-সালাম’ শব্দটি আল্লাহ তায়ালার উত্তম নামসমূহের অন্যতম। যার অর্থ শান্তি ও নিরাপত্তার আধার। বান্দা যখন এ কথা বলে তখন সে তার ভাইয়ের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও হেফাজত কামনা করে।
সে হিসেবে আস-সালামু আলাইকুম এর অর্থ, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সংরক্ষক। সালামের উৎপত্তি সম্পর্কে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—আল্লাহ তায়ালা যখন আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেন তখন তার উচ্চতা ছিল ষাট হাত। আল্লাহ তায়ালা তাকে সৃষ্টি করে বললেন, যাও, ফেরেশতাদের অবস্থানরত দলকে সালাম করো এবং মন দিয়ে শুনবে, তারা তোমার সালামের কি জবাব দেয়।
এটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালাম। আদম আলাইহিস সালাম গিয়ে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। ফেরেশতাগণ জবাব দিলেন- ওয়া আলাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। ফেরেশতাগণ ওয়া রাহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করলেন। তারপর যারা জন্নাতে যাবে তারা প্রত্যেকেই আদম আলাইহিস সালাম-এর আকৃতি বিশিষ্ট হবে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের উচ্চতা ক্রমাগত হ্রাস পেয়েই আসছে। (বুখারি, হাদিস : ৬২২৭)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা সালামের আদব ও পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে—
وَ اِذَا حُیِّیۡتُمۡ بِتَحِیَّۃٍ فَحَیُّوۡا بِاَحۡسَنَ مِنۡهَاۤ اَوۡ رُدُّوۡهَا ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَلٰی كُلِّ شَیۡءٍ حَسِیۡبًا
আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী। (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৬)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সালাম ও সালামের জবাবের আদব বর্ণনা করেছেন। কেউ সালাম দিলে তাকে আরও সুন্দরভাবে জবাব দিতে বলে অথবা সে যেভাবে বলেছে সেভাবেই জবাব দিতে। অর্থাৎ, কেউ আসসলামু আলাইকুম বললে তাকে ওয়ালাইকুম আসসালাম বলতে হবে অথবা আরেকটু সুন্দর করে ওয়া আলাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলতে হবে।
মন্তব্য করুন