রাজধানীর বিভিন্ন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ এবং সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত থাকায় আদালত এই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন। এছাড়াও আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই মামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারপক্ষ দাবি করেছে, এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা, যা বিরোধী দলগুলোর ষড়যন্ত্রের অংশ। অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছে, দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা বা তার দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।
দেশ-বিদেশে এই মামলা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে, কারণ এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আইনি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন