সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও ভিডিওর মাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে কনসালটেন্ট ও ইনচার্জ চিকিৎসক এ বি এম মারুফুল হাসান।
বুধবার (৩০ জুলা্ই) বিকেলে স্থানীয় এক সাংবাদিক ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে রংপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য পদস্থগিত যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব হোসেন সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমাকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করে এবং পরবর্তীতে এক ভিডিও কনফারেন্সে একই ধরনের আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করে। সম্প্রতি সুমনের সাথে এক চিকিৎসকের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, এতে আমাকে কেন দোষারোপ করা হলো সেটি আমার বোধগম্য নয়।এর আগেও লোকমুখে শুনেছি সে আমার নামে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত আছে, কিন্তু কোন প্রমাণ না থাকায় আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু তার এই কর্মকাণ্ডের স্ক্রিনশট ও ভিডিও পাঠালে আমি বিষয়টি অবগত হই এবং প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
আমি একজন বিসিএস ক্যাডার, কোন প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তার এরূপ বক্তব্য আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করায় আমি আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি আমি বাংলাদেশ সোসাইটি অফ এনিস্থিসীয়লজিস্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও পেইন ফিজিশিয়ান ( বিএসএ -সিসিপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও রংপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক, আমি স্পেশাল বিসিএসদ ২১, ( ষষ্ঠ গ্রেড) স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, পুলিশ লাইন স্কুল ও কলেজের অ্যালুমিনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। আমি বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত। আমার এসব পোস্ট পদবী ও সামাজিক অবস্থানের কারণে ঈর্ষান্নিত হয়ে একটি মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার বিষয়টি সেই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আশঙ্কা করছি।
তিনি আরো বলেন, মাহবুব হোসেন সুমন বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে বলেন, আমি এ্যানেস্থেসিয়া ডাক্তার হয়েও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে লাইফ সাপোর্টের মতো জায়গায় দায়িত্বে আছি। লাইফ সাপোর্ট বলতে তিনি হয়তো আই সি ইউ বুঝিয়েছেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, সারা বাংলাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ্যানেস্থেসিয়া ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এ্যানেস্থেসিয়া বিভাগ থেকে দক্ষতা,যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির বিবেচনায় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আইসিইউ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।
মাহবুব হোসেন সুমন বিভিন্ন সময় আইসিইউতে রোগী ভর্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং দীর্ঘদিন ধরে কিৎসকদের নানা রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। অথচ তার সাথে আমার কোন পূর্ব শত্রুতা নেই, কি কারনে সে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তা আমার বোধগম্য নয়। আপনাদের মাধ্যমে আমি এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পত্রিকা ও টিভি সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন ।
মন্তব্য করুন