
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়। তবে পানি কমতে শুরু করলেও এখনও চরম ভোগান্তিতে রয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, লালমনিরহাট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে রাতের দিকে পানি কমতে শুরু করে এবং বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
সকালে সরেজমিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি মাস্টারপাড়া এলাকায় দেখা যায়, পানি কমলেও বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে এখনও জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীতা দাস জানান, “পানি নামছে এবং বন্যার তেমন আশঙ্কা আপাতত নেই। তবে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে, তাই পুনর্বাসনের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।”
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শাহরিয়ার তানভির আহমেদ জানান, “বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিটি উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন করে জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ঢেউটিন, শুকনো খাবার এবং অন্যান্য সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।