পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়নের মৌলানি পাড়া এলাকায় ভরা বর্ষাকালেও বৃষ্টির দেখা নেই। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে অবিরাম বৃষ্টির বদলে চলছে খরা। ফেটে গেছে ফসলের জমি। বৈরী আবহাওয়ায় বৃষ্টি নির্ভর আমন চাষাবাদে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। সূর্যের তাপে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা। এক সময়ে আষাঢ় শ্রাবণে বৃষ্টির জমা পানিতে আমন চাষাবাদ করতেন চাষিরা। কিন্তু কয়েক বছরে বৃষ্টিপাত কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। গেল বছর জুলাই মাসে বৃষ্টি হয় ৭৭৭ মিলিমিটার আর এ বছর এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৯৬ মিলিমিটার । তাই সময়মতো বৃষ্টি না মেলায় প্রভাব পড়েছে আমন চাষে। সময়ের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে ঋতুচক্র। অন্য বছরগুলোতে আষাঢ়েই আমন শেষ করতেন চাষীরা।
এ বছর সময়ের মধ্যে বৃষ্টি না হওয়ায় সেলো মেশিন দিয়ে আমন চাষাবাদ করছেন চাষিরা। এতে সময়ের পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ এবং ব্যয়ের পরিমান বাড়ছে কয়েকগুন।
কৃষক ওবায়দুর রহমান বলেন তার চার বিঘা জমি বৃষ্টির পানি না থাকায় তিনি সেলো মেশিন দিয়ে আমন ধান রোপন করছেন।
গুরুদাস চন্দ্র বলেন, আমন ধান রোপন করতেছি মেশিন দিয়ে এতে চাষাবাদে খরচের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে সরকারের কাছে ভর্তুকি চান তারা।
সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) জানায়, এ বছর ১ লাখ ৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এখন পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছে ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে সম্পূরক সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষাবাদ এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি যাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বিঘ্নিত না হয়।
ধানের চারা আর সবুজে ভরে যেত যে ক্ষেত এখন সেখানে গরু ছাগলের চরণভূমি শুকনো মাঠ আর চাষীদের অপেক্ষা এখন আকাশে বৃষ্টির পানির দিকে।
মন্তব্য করুন