আজ ৩০ জুলাই, ঢাকাই চলচ্চিত্রের গর্বিত নাম ফরিদা আক্তার পপি—যিনি আমাদের কাছে ববিতা নামেই পরিচিত—তার ৭২তম জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের এই দিনে তিনি বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে অসংখ্য কালজয়ী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বাঙালির হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।
জন্মদিন উপলক্ষে বর্তমানে তিনি রয়েছেন কানাডায়, তার একমাত্র ছেলের সঙ্গে। গতকাল কানাডা থেকে মুঠোফোনে জানালেন, “এবার জন্মদিনে কোনো বিশেষ আয়োজন করছি না। অনিক (ছেলে) অফিস থেকে ফিরে এলে দুজনে হয়তো কোনো ভালো রেস্টুরেন্টে খাবো। আত্মীয়স্বজন না থাকায়, খুব সাধারণভাবেই দিনটা কাটছে।”
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে ববিতা একমাত্র অভিনেত্রী যিনি অস্কারজয়ী কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় অভিনয় করার গৌরব অর্জন করেছেন। সেই সিনেমার নাম ‘অশনি সংকেত’।
ববিতার অভিনয় যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৮ সালে, শিশু চরিত্রে ‘সংসার’ ছবির মাধ্যমে। নায়িকা হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে এহতেশামের পরিচালনায় ‘পীচ ঢালা পথ’ ছবিতে, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক রাজ রাজ্জাক।
১৯৭৫ সালে ‘বাদী থেকে বেগম’ ছবির চাঁদনী চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর একে একে ‘নয়নমণি’, ‘বসুন্ধরা’, ‘রামের সুমতি’, ‘পোকা মাকড়ের ঘর বসতি’, ‘হাসন রাজা’ ও ‘কে আপন কে পর’ ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। সর্বশেষ তাকে দেখা যায় নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায়, যা প্রায় এক দশক আগের কথা।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ববিতার অবদান চিরস্মরণীয়। তার জন্মদিনে রইল অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
মন্তব্য করুন