কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার বিশ্বজুড়ে নতুন সম্ভাবনার পাশাপাশি তৈরি করছে নানা চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, বাংলাদেশে এআইয়ের অনিয়ন্ত্রিত ও অসচেতন ব্যবহার ভবিষ্যতে বড় ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এআই এবং অটোমেশনের কারণে অনেক ঐতিহ্যবাহী পেশা হুমকির মুখে পড়তে পারে, বিশেষ করে কাস্টমার সার্ভিস, ডাটা এন্ট্রি ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে।
এআই ব্যবহার করে সহজেই ভুয়া খবর, ডিপফেক ভিডিও ও মিথ্যা তথ্য তৈরি করা যায়, যা সামাজিক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে।
সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কথাই বলা যাক। এআইয়ের মাধ্যমে মুহূর্তেই মৃতকে করা হচ্ছে জীবিত। ইচ্ছা মতো কথা, তার মুখেই শুনিয়ে দেয়া হচ্ছে দর্শকদের। এমনকি এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে একদম আসল ছবির মতো নকল ছবি।
অনেকেই মনে করেন এসব এআই ভিডিও কেউ বিশ্বাস করে না। তাই ভিডিওগুলোর নিচে মন্তব্যের ঘরে নজর দিলেই চক্ষু চড়কগাছ। নির্মাতার টাইটেল আর প্রযুক্তি দক্ষতায় এসব ভিডিওকে একদম সত্যি ভেবে নেয়ার কারণে সমাজে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে সংক্রামকের মতো।
সাইবার অপরাধীরা এআই ব্যবহার করে আরও পরিশীলিত ফিশিং, হ্যাকিং ও ডেটা চুরির মতো অপকর্মে জড়িয়ে পড়তে পারে।
বাংলাদেশে এআই ব্যবহারের জন্য এখনও কোনো স্পষ্ট নীতিমালা বা আইনি কাঠামো নেই, যা অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে এআইয়ের অপব্যবহার বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক কাজে লাগাতে সতর্কতা ও প্রস্তুতির বিকল্প নেই।
মন্তব্য করুন