রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও অযত্নে পড়ে রয়েছে আদিবাসি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির ঘরটি। ফলে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ঘর। অপর দিকে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার অভাবে ভুলে যেতে বসেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আদিবাসী সাম্প্রদায়ের শিশু-কিশোররা। তবে এই কালচারাল একাডেমিটি পুনরায় চালুর জন্য চেস্টা চালাচ্ছেন জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রাজশাহী বিভাগী ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচালার একাডেমির কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৪ সালে রাজশাহীর তানোর অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, উন্নয়ন ও চর্চা এবং লালনের লক্ষ্যে তানোর সদর থেকে ১কিলোমিটার দুরে তানোর-মুন্ডমালা সড়কের ধারে তানোর সদর গ্রামের পশ্চিমে সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় তানোর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ একাডেমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। একাডেমি টি স্থাপনের পর অল্প কিছুদিন সেটি ব্যবহার হলেও দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে।
তবে, এই কালচারাল একাডেমিটির নির্মাণ ব্যয় ও অন্যান্য কোন বিষয়ে কোন তথ্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে নেই। ফলে, কালচারাল একাডেমির কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আদিবাসীরা দাবি তুলেছেন এই কালচারাল একাডেমি টি চালু করে নিয়মিত ভাবে তাদের কালচার ও ঐতিহ্য রক্ষার।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা পারগানা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজেন বলেন, সরকারী ভাবে সহযোগীতা না পাওয়ায় স্থাপনাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, এটি চালু না হওয়ায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের কৃষ্টি কালচার ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সংরক্ষন ও গবেষণা ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি চালু করে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কৃষ্টি কালচার ও সাংস্কৃতি সংরক্ষণের
জোর দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারার একাডেমির উপ পরিচালক বেনজামিন টুডু বলেন, গত ২বছর আগে তৎকালীন ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার ভূমিকে সাথে নিয়ে তানোরের পরিত্যক্ত কালচারার একাডেমিটি পরিদর্শন করা হয়, কিন্তু এবিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন কাগজপত্র পেলে এই একাডেমি টি পুনরায় চালু করা হবে। যদি কোন কাগজপত্র না পাওয়া যায়। নতুন ভাবে কাজদগজপত্র তৈরি করে এই কালচারাল একাডেমিটি পুনরায় চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে খোঁজ নিয়ে কালচারাল একাডেমিটি চালু করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন