প্রায় তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সাড়ে বারো কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি নিজের নামে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। অথচ তার নামে কোনো স্বীকৃত ব্যবসা-বাণিজ্য বা আয়ের উৎস নেই।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে অর্জিত এই অর্থের উৎস গোপন করতে তিনি তিনটি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, চলতি বছরের ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমির প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সেই মামলায় শেখ হাসিনার একান্ত সচিব সালাউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও অভিযুক্ত হন। এসব অভিযোগপত্র এখন আদালতে বিচারাধীন। ঐ মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিও।
এছাড়া, গত ১৭ জুলাই আরও বিস্ফোরক এক পদক্ষেপে দুদক পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে। এসব মামলায় তারিক আহমেদের নামে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৩২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তোলা হয়। একই সঙ্গে তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিকের নামে ২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ২১৩ টাকা, বড় মেয়ে নুরিন তাসমিয়া সিদ্দিকের নামে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯২ টাকা এবং ছোট মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের নামে ৪ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন