দেশে চাঁদাবাজি, খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণ সোচ্চার—এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা। শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা।
সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে। সেখানে বক্তারা অভিযোগ করেন, একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার আগেই বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। তারা প্রশ্ন তোলেন, যারা নিজেদের দলের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা দেশের জনগণকে কিভাবে সুরক্ষা দেবে?
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, “আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে এগোচ্ছিলাম। অথচ এখন আমরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, এমনকি পাথর ছুঁড়ে মানুষ হত্যার মতো ঘটনার সাক্ষী হচ্ছি, যা প্রাগৈতিহাসিক সময়কে মনে করিয়ে দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর যেভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছিল, এখন আবার সেই ধরনের সহিংসতা ক্ষমতা দখলের একটি পন্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জুলাই বিপ্লবের প্রজন্ম—এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন রুখে দেব।”
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা অভিযোগ করেন, “মিটফোর্ডে আমাদের এক সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। চাঁদাবাজি এখন দেশের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “জুলাই বিপ্লব আওয়ামী জাহিলিয়াতের কবর রচনা করেছিল, এখন নতুন করে জাতীয়তাবাদী জাহেলিয়াত মাথাচাড়া দিচ্ছে। ছাত্রসমাজ এখনো সজাগ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের দমন না করলে ছাত্ররা রাজপথে রুখে দাঁড়াবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রঅধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহসহ অনেকে।
সমাবেশের বক্তারা সারাদেশে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.