গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভাসুরের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তা পরিবারের সদস্যদের জানানোর ঘটনায় মারপিটে রক্তাক্ত জখমের পাশাপাশি শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রাখালবুরুজ ইউপির লোনতলা (লোনতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গোবন্দিগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া গ্রামের সোহেল রানা তার আত্মীয় রাখালবুরুজ ইউপির লোনতলা গ্রামের সাজু, রিফাত, নাজু, দুলাল, এনামুল, রানু মিয়াদের অভিযুক্ত থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নাজু মিয়ার সাথে পারিবারিকভাবে সাপমারা ইউপির মাদারপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের কন্যা রাবেয়ার বিবাহ হয়। রাবেয়া ও ৩নং অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ফুফাতো বোন ও তার জামাই হয়। বিয়ের পর থেকে আমার বোন জামাই কর্মের তাগিদে অনেক সময় বাড়ির বাহিরে অবস্থান করত। সে সুযোগে তার ভাই ১নং অভিযুক্ত সাজু তার ছোট ভাই বউকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বিষয়টি রাবেয়া তার স্বামীকে জানালেও সে কোন সুরাহা না করে তা এড়িয়ে যায়। বিষয়টিতে রাবেয়ার সহ্যসীমার বাহিরে গেলে সে তার বাবার পরিবারের সদস্যদের জানায়।
ঘটনার দিন তারা জামাইবাড়িতে পৌঁছামাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। এতে মাথা ও হাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে একাধিক সেলাই নিয়ে কফিরুল ও তার মা কবিলা বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এসময় কবিলা বেগমকে শ্লীলতাহানি ঘটায়। অপরদিকে বেধরক মারপিটে আপেল, রবিউল, আসাদুল ছেলা-ফোলা আহত করে সবাইকে বাড়িতে আটকে রাখে। পরে খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থেকে স্বাক্ষীরা উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
লিখিত এজাহার জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.