ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া অর্ধ ডজন সিনেমার মধ্যে শুধুমাত্র 'তাণ্ডব' দর্শকদের মন জয় করতে পেরেছে। বাকি ছবিগুলো ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক প্রেক্ষাগৃহ থেকে সেগুলো নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজত্ব 'তাণ্ডব', 'ইনসাফ', 'উৎসব', 'নীলচক্র', 'টগর' ও 'এশা মার্ডার-কর্মফল'। তবে 'তাণ্ডব' ছাড়া অন্য কোনো ছবিই দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারেনি। এমনকি মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই 'টগর'সহ বেশ কয়েকটি ছবি মাল্টিপ্লেক্স থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

দেশের একমাত্র মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সে 'তাণ্ডব'-এর প্রতিদিন ৪৬টি শো প্রদর্শিত হচ্ছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে 'উৎসব' (১৩টি শো), এরপর 'ইনসাফ' (১২টি শো)। 'নীলচক্র' ও 'এশা মার্ডার-কর্মফল'-এর মাত্র তিনটি করে শো চলছে। দর্শকদের অনাগ্রহের কারণে 'টগর' সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

লায়ন সিনেমাসেও একই চিত্র। সেখানে এখন শুধু 'তাণ্ডব', 'উৎসব' ও 'ইনসাফ' চলছে। 'নীলচক্র', 'এশা মার্ডার-কর্মফল' ও 'টগর' দর্শকশূন্য হওয়ায় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলে শুধু 'তাণ্ডব' প্রদর্শিত হচ্ছে। হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানান, ছবিটি ভালো চললেও রোজার ঈদের মতো জমজমাট ব্যবসা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি প্রেক্ষাগৃহে 'তাণ্ডব' মুক্তি পেয়েছে। শীঘ্রই কানাডা ও ইউরোপেও ছবিটি প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে, 'উৎসব' ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাবে।

'টগর'-এর নির্মাতারা দাবি করছেন, শো টাইম সঠিকভাবে নির্ধারণ না হওয়ায় ছবিটি ব্যর্থ হয়েছে। তবে বাস্তবে দর্শকদের অনীহাই মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ঈদের সিনেমা বাজারের এই হাল দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—একটি মাত্র ছবির সাফল্যে কি পুরো শিল্প টিকে থাকতে পারবে? নাকি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার সিনেমা শিল্পকে বাঁচাতে?