আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্তে গরু চোরাচালান, চামড়া পাচার এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ব্যাটালিয়ন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে ৫৬ বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “আসন্ন কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাচালান এবং কুরবানির পশুর চামড়া পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ পশুর চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট সংখ্যক কুরবানির পশু রয়েছে। কাজেই কোনোভাবেই পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, ঈদের পর কুরবানির চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্য ঠাকুরগাঁও সেক্টর ও ৫৬ বিজিবি যৌথভাবে সীমান্তে বিশেষ নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি দীর্ঘ ঈদের ছুটিতে সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত থাকবে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল বদরুদ্দোজা বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় পুশ-ইনের চেষ্টা বেড়েছে। এ ধরনের অপচেষ্টা রোধে রংপুর রিজিয়ন, ঠাকুরগাঁও সেক্টর এবং ৫৬ বিজিবি যৌথভাবে সীমান্তে কড়া নজরদারি এবং টহল তৎপরতা জোরদার করেছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে পুশ-ইন বন্ধে বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি মৌখিক ও লিখিত প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে কূটনৈতিক ও কৌশলগত উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ঈদের আগে ও পরে সীমান্তের বিভিন্ন চেকপোস্ট ও স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত টহল, ভ্রাম্যমাণ দল এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবি’র এ ধরনের তৎপরতা স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ও আস্থা ফিরিয়ে এনেছে ।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.