পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ইতিহাসে লাহোর কালান্দার্স বরাবরই রোমাঞ্চ ছড়ানো দল হিসেবে পরিচিত। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে শাহীন আফ্রিদির দল। আর এই জয়ের অন্যতম নায়ক বাংলাদেশের উদীয়মান লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন, যিনি কেবল দলকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্যই করেননি, ম্যাচ শেষে পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কারও—একটি আইফোন!
লাহোরের ঘরের মাঠ গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লাহোর তোলে ৮ উইকেটে ২০২ রানের বিশাল স্কোর। মোহাম্মদ নাঈমের ২৫ বলে ৫০ এবং কুশল পেরেরার ৩৫ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস এনে দেয় লাহোরকে শক্ত ভিত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছিলেন সালমান আগা ও শাদাব খান, কিন্তু রিশাদ তখনই ছোবল দেন। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়ে চাপ বাড়িয়ে দেন তিনি। এরপর আরও একটি উইকেট তুলে নেন—জিমি নিশাম। শেষ পর্যন্ত রিশাদ ৩ ওভারে ৩৪ রান খরচে নেন ৩ উইকেট। তার ঘূর্ণির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ইসলামাবাদ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫.১ ওভারে ১০৭ রানে। লাহোর জিতে যায় বিশাল ৯৫ রানে।
জয়ের পর ড্রেসিংরুমে শুরু হয় আরেক উৎসব। দলের মালিক সামিন রানা একে একে চারজন সেরা পারফর্মারকে ডাকেন এবং তাদের হাতে তুলে দেন আইফোন। প্রথমে সালমান মির্জা, এরপর মোহাম্মদ নাঈম ও কুশল পেরেরা। আর সবার শেষে ডাকা হয় রিশাদ হোসেনকে। তিনি বলেন,'তুমি সত্যিই আমাদের গর্বিত করেছ। চাপে পড়ে যেভাবে মূল ব্যাটসম্যানদের আউট করেছ, সেটা অসাধারণ। তাই তোমার জন্য রয়েছে একটি আইফোন।'
ম্যাচে সাকিব আল হাসান থাকলেও ছিলেন বিবর্ণ। ব্যাটে-বলে কিছু করতে না পারা সাকিবের বিপরীতে রিশাদের পারফরম্যান্স যেন আলোকবর্তিকা হয়ে উঠল। আরেক বাংলাদেশি মেহেদী হাসান মিরাজ এখনো মাঠে নামার সুযোগ পাননি।
লাহোর এখন ফাইনালের মঞ্চে। আর রিশাদ? নিজের পারফরম্যান্সে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার পাশাপাশি জিতে নিয়েছেন সতীর্থদের প্রশংসা ও মালিকের পুরস্কার। সামনে ফাইনাল, আর রিশাদের চোখে এবার হয়তো আরও বড় কিছু!
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.