পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর শান্তিকালীন অবস্থান থেকে তাদের সেনা ফিরিয়ে সম্মত হয়েছে।
আগামী ৩০ মে’র মধ্যে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশ দুটির কর্মকর্তারা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র দ্য নিউজকে জানিয়েছে, উভয় দেশের সামরিক নেতৃত্ব, বিশেষ করে সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহারের জন্য সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করছেন।
দুদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের যুদ্ধবিরতির পর এই পদক্ষেপকে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তারা উত্তেজনা হ্রাসকে ‘আস্থা তৈরির পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি সূত্র জানিয়েছে, স্বাভাবিক সামরিক অবস্থানে ফিরে আসা যুদ্ধবিরতি কাঠামোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ।
সূত্র আরো জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পেহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দশক ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনা শুরু হয় গত ৭ মে। সেদিন পাকিস্তান এবং আজাদ কাশ্মীরের (এজেকে) বিভিন্ন এলাকায় ভারত বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩১ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে।
পালটা জবাবে, পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে তিনটি রাফাল। এছাড়া কয়েক ডজন ড্রোনও ধ্বংস করে ইসলামাবাদ।
চারদিনের এই সংঘাতে ভারতের হাতে কমপক্ষে ১১ সেনা এবং ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে জানা গেছে। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ মে দুদেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সম্পর্কে উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা রোববার স্পষ্ট করে বলেছেন, ডিজিএমওদের আলোচনার নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়নি। মূলত মার্কিন মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ ছাড়াই কার্যকর হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, গত ১২ মে ডিজিএমও-এর সঙ্গে আলোচনায় যেমনটি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কোনো তারিখ নেই।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.