কাতারের বিলাসবহুল বিমান উপহার গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়ে বিপাকে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারের রাজপরিবারের কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমান গ্রহণের সিদ্ধান্তে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যেও এ সিদ্ধান্তে ট্রাম্প অনেককে নিজের পক্ষে টানতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এর বিরোধিতায়ও বড় ধরনের ঐক্য গড়ে উঠেছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির পাশাপাশি ট্রাম্পের অনেক কট্টর সমর্থকও এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বিশিষ্ট কনজারভেটিভ ইনফ্লুয়েন্সার বেন সাপিরো তার পডকাস্টে একে 'ন্যক্কারজনক' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, কাতার শুধু নিজেদের স্বার্থেই এই উপহার দিচ্ছে। এমনকি কাতারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
লরা লুমার, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবশালী এবং হোয়াইট হাউজের নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের বরখাস্তের দাবি জানিয়ে আসছেন, তিনিও বিমান উপহারের সমালোচনা করেন। তিনি একে ট্রাম্পের জন্য 'একটি দাগ' হিসেবে বর্ণনা করেন। নিউইয়র্ক পোস্টও এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, ‘কাতারের জেট বিনামূল্যের উপহার নয়’।
এদিকে, ট্রাম্পের মেয়াদকালে কাতারকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়নের অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প নিজেই। অথচ এখন সেই কাতারের কাছ থেকেই বিলাসবহুল বিমান উপহার নিতে যাচ্ছেন তিনি। এই দ্বিমুখী অবস্থানের সমালোচনা করছেন অনেকেই।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল-থানি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, এটি দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সম্পাদিত লেনদেন। এতে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, ‘কাতার সবসময়ই একটি নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত অংশীদার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কিনে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা কাতারের নেই।’
বিমান উপহারের বিষয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছে, এয়ার ফোর্স ওয়ান বহরে নতুন বিমানটি যুক্ত করতে সংস্কার ও আপগ্রেডে বছরখানেক সময় লাগতে পারে। তবে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষে বিমানটি প্রেসিডেন্টের সংরক্ষণাগারে স্থানান্তর করা হবে। প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যেকোনো বিদেশি উপহার গ্রহণে সব আইন মেনেই তা করা হয়।’
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.