তুরস্ক বর্তমানে এমন একটি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, যাকে বিশ্ব শান্তি, কূটনীতি, বৈশ্বিক সাহায্য, সমর্থন এবং মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সোমবার (১২ মে) রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
এরদোগান বলেন, “আমরা সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছি। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও আমরা ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করেছি। রক্তপাত বন্ধে আমরা কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারি, তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার প্রিয় বন্ধু ট্রাম্পের সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে উত্তপ্ত সংঘাত নিরসনের ইচ্ছাকেও আমি সমর্থন করি। আল্লাহর রহমতে, তুরস্ক এখন বিশ্ব শান্তি, কূটনীতি, সাহায্য ও মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে একটি প্রশংসিত দেশে পরিণত হয়েছে।”
এরদোগান আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবজাতি অত্যন্ত বেদনাদায়ক সময় পার করছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন কোনো সংঘাত, যুদ্ধ বা উত্তেজনার খবর শোনা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব যে এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, তা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বব্যবস্থা তার আয়ুষ্কালের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। তবে এর পরবর্তী ধাপ কী হবে, তা এখনো অজানা।”
তুরস্কের শক্তি, খ্যাতি ও সংকট ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা ক্রমশ স্বীকৃত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন এরদোগান। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি আবারও এই সত্যটি প্রমাণ করেছে।
রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ব্যাপক ফোনালাপ হয়েছে বলেও জানান এরদোগান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তুরস্ক বর্তমানে সকল পক্ষের আস্থাভাজন একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে আমরা এই আলোচনা আয়োজন করতে আনন্দিতভাবে প্রস্তুত রয়েছি