ভারতের বিরুদ্ধে ১৯ দিনের অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তান। অভিযানে পাল্টাপাল্টি হামলার দাবি করেছে দুই দেশ। এতে নিজেদের কত সেনা নিহত হয়েছে তা জানিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (১৩ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতের অপ্রত্যাশিত ও কাপুরুষোচিত আক্রমণে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ১১ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৮ সেনা।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এ যুদ্ধে ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাত নারী ও ১৫ শিশু রয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় আরও অন্তত ১২১ জন আহত হয়েছেন।
আইএসপিআর জানায়, গত ৬-৭ মে রাতে ভারত পেহেলগাম হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে অপারেশন সিঁদুরের নামে পাকিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে, যার ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর উভয়পক্ষ সপ্তাহব্যাপী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করে আমেরিকা। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্থাপিত হয়েছে।
নিহত সেনাদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে আইএসপিআর। তারা জানিয়েছে, ভারতের হামলায় সেনাবাহিনীর নায়েক আবদুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লাহ, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহি মুহাম্মদ আদিল আকবর এবং সিপাহি নিসার নিহত হয়েছেন। এছাড়া পাকিস্তান বিমান বাহিনী স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নজীব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক এবং সিনিয়র টেকনিশিয়ান মোবাশির নিহত হয়েছেন।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুসের মাধ্যমে মার্কা-ই-হক ব্যানারে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা ছিল সুনির্দিষ্ট ও প্রতিশোধমূলক আঘাত। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শহীদদের মহৎ আত্মত্যাগ সাহস, নিষ্ঠা এবং অটল দেশপ্রেমের চিরন্তন প্রতীক হিসেবে জাতির স্মৃতিতে অমলিন থাকবে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.