গত ৭ মে, মুম্বাইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়ে দেয় দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আর জায়গা নেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির জন্য। সেদিনই রোহিত টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে একই পথে হাঁটলেন কোহলিও।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি উঠেছিল, কোহলিকে বোঝাতে বিসিসিআই অনুরোধ করেছিল যাতে তিনি অবসর না নেন। তবে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক জাগরণ এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে—বোর্ড কোনো অনুরোধ করেনি, বরং বাস্তবতা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে।
এক বোর্ড কর্মকর্তা জাগরণকে বলেন, “বিসিসিআই কখনও কাউকে অনুরোধ করে না। একজন খেলোয়াড় খেলবেন কি না, সেটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও জানান, কোহলিকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল—“রান করতে পারলে দলে থাকবে, না পারলে নয়।”
বিসিসিআইয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এখন তরুণ মুখের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের টেস্ট ব্যর্থতা, বিশেষ করে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাজে পারফরম্যান্সের পর সিনিয়রদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে বোর্ড। পরিবর্তে তারা এমন কাউকে চাইছে, যারা দীর্ঘ মেয়াদে দলের নেতৃত্ব দিতে পারবে।
কোহলির সাম্প্রতিক ফর্মও চিন্তার কারণ ছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে একটি সেঞ্চুরি পেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে মিলিয়ে করেন মাত্র ৯০ রান, ব্যাটিং গড় ২৩-এর নিচে। এমন পারফরম্যান্সের প্রেক্ষাপটেই তিনি ১৪ বছরের বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন।
বোর্ডের বার্তা ছিল সোজাসাপটা—যে পারফর্ম করবে, সেই থাকবে। রোহিত ও কোহলি, দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই অবশেষে সেই বার্তা মেনে নিয়েই সরে দাঁড়ালেন।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.