ইসরাইলি অবরোধ ও দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ত্রাণ প্রবেশে বাধার কারণে গাজা উপত্যকার ৬৫ হাজারের বেশি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
গাজা উপত্যকার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ইসরাইলি দখলদারিত্ব এমন দুর্ভিক্ষ তৈরি করছে যা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে। আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে ক্রসিং বন্ধ করেছে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ৩৯ হাজার ট্রাক ত্রাণ, জ্বালানি এবং ওষুধ বহনকারী প্রবেশে বাধা দিয়ে ২৪ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিককে নিয়মতান্ত্রিক অপরাধের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
গাজা উপত্যকার সমস্ত বেকারি ৪০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে বাসিন্দারা রুটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টি তীব্রতর হচ্ছে, বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ এবং বয়স্কদের মধ্যে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ফলে অপুষ্টি ও খাদ্য সংকটের কারণে ৬৫ হাজারের বেশি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়া, চলমান গণহত্যার মধ্যে মানবিক ও স্বাস্থ্য বিপর্যয়কে আরও খারাপ করে তুলেছে ইসরাইলের ৭০ দিনের জন্য ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার নির্মম সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হন ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হন এক লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে ২৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাত হাজারেরও বেশি আহত হন।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.