কর্পূরগাছের বৈজ্ঞানিক নাম সিনামোনান ক্যাম্ফরা। কর্পূরের রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। এটি কেবল গৃহস্থালির কাজে নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কর্পূর মূলত গাছের ছাল থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক একটি উপাদান। প্রাচীনকাল থেকেই ব্যথা কমানো, চুলকানি ও র্যাশ নিরাময়ে কর্পূরের ব্যবহার প্রচলিত। তবে কর্পূরের সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় চুলের যত্নে।
কর্পূর প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এটি মাথার ত্বকের ব্রণ ও র্যাশ দূর করতে কার্যকর। গরমকালে মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। কর্পূর ব্যবহারে সেই চুলকানি কমে যায়। এছাড়া কর্পূর অকালে চুল পাকা রোধেও সহায়ক।
ত্বক ও চুল বিশেষজ্ঞরা জানান, কর্পূরের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। কর্পূরের তেল খুশকি দূর করতে এবং উকুন নাশ করতে কার্যকর।
যা যা লাগবে:
কর্পূরের গুঁড়ো (১ টেবিল চামচ)
নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল (১/২ কাপ)
প্রস্তুত প্রণালি:
প্রথমে কর্পূর গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিন।
এরপর নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলে কর্পূরের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিন, যাতে কর্পূরের গুণাগুণ তেলের সঙ্গে মিশে যায়।
এবার তেলটি হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুশকি, চুল পাকা ও চুল পড়ার সমস্যা কমবে।
চুল বেশি রুক্ষ হলে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে চুল নরম হবে।
কর্পূর ব্যবহারের আগে অবশ্যই অ্যালার্জি টেস্ট করে নিন।
কর্পূর সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। সবসময় তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত কর্পূর ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে।
চোখে কর্পূর লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.