বাংলা সাহিত্যের অমর স্রষ্টা, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (২৫ বৈশাখ/৮ মে)। ১৮৬১ সালের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের এই মহানায়ক। তার পিতা ছিলেন দার্শনিক মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এ বছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে 'রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ'। কবির সৃষ্টিকর্ম বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও জাতীয় চেতনার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তার রচিত 'আমার সোনার বাংলা' বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৌরবের সঙ্গে গীত হয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে তার কবিতা ও গান বাঙালিকে প্রেরণা যুগিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবি নন, তিনি ছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদ। তার রচনায় মানুষের সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ, প্রকৃতি-প্রেম এবং মানবতার গভীর প্রকাশ ঘটেছে। ১৯১৩ সালে 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা বাংলা ভাষা ও বাঙালির জন্য এক অনন্য গৌরব।
কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশে তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে আজ (৮ মে) থেকে শুরু হয়ে ১০ মে পর্যন্ত উন্মুক্ত অনুষ্ঠানমালা চলবে। এতে থাকবে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্য, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের দেড়শত বছর পরেও তার সাহিত্য ও দর্শন বাঙালির হৃদয়ে অম্লান। তার সৃষ্টিকর্ম আজও মানুষকে শক্তি, সান্ত্বনা ও নতুন চিন্তার খোরাক জোগায়। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.