নয়াদিল্লির সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য ভারতীয় হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে সব মাদ্রাসা ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) এক সরকারি নির্দেশনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
সরকারি নোটিশে বন্ধের কারণ স্পষ্ট না করা হলেও, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গরম ও তাপপ্রবাহকে ছুটির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের পরিচালক হাফিজ নাজির আহমেদ এ বিষয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে আমরা দুই ধরনের তাপপ্রবাহের মুখোমুখি— একটির উৎস প্রকৃতি, অন্যটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেকোনো সময় হামলার লক্ষ্য হতে পারে— সেই ঝুঁকি মাথায় রেখেই আমরা মাদ্রাসাগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা শিশুদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।"
হাফিজ নাজির আরও জানান, আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তান প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দুই অঞ্চল— আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানে বর্তমানে ৪৪৫টি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে পড়াশোনা করে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। যদিও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করেনি, তবে তারা পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার ও সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ভারতের জন্য আকাশ ও স্থলসীমা বন্ধসহ পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশেই মঙ্গলবার ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়ার কথা বলেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.