ডালিম একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল, যা বহু প্রাচীনকাল থেকেই রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে এবং রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তবে স্বাস্থ্যকর হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে ডালিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি, কারণ এতে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা।
ডালিম টক প্রকৃতির হওয়ায় অতিরিক্ত খেলে অনেক সময় বমি বমি ভাব বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার তরল পদার্থ শরীরে অতিরিক্ত তরল ধরে রাখতে পারে, যা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডালিমে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি থাকায় অতিরিক্ত গ্রহণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
ভুলবশত ডালিমের খোসা খেলে তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এতে উপস্থিত কিছু রাসায়নিক উপাদান কিডনি এবং লিভারের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা ডালিম খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে সতর্কতার পাশাপাশি চিকিৎসকরা এও বলেন, নির্দিষ্ট মাত্রায় এবং নিয়মিত ডালিম খেলে এটি দেহের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও ডালিমের ভূমিকা রয়েছে।
ডায়েটিশিয়ানদের মতে, ডালিম ওজন কমাতে সহায়তা করে, কারণ এটি শরীরের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে এবং ধমনিতে জমে থাকা চর্বিও পরিষ্কার করতে পারে।
এছাড়াও, ক্যান্সার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় ডালিমের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
সর্বোপরি, ডালিম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হ্রাস, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও সহায়তা করে। তবে এর সব উপকার পেতে হলে পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে গ্রহণ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: সামা টিভি
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.